সময়ের অস্তিত্ব মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও মনে হয় যে ‘সময়’ এর নিজস্ব বাছাই রয়েছে। নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা হলেন যাঁরা মানুষের দ্বারা মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হয়েছিল কিন্তু সময় তার নিজস্ব রায় দিয়েছে এবং বলেছিল ‘আপনার সময় এখনও শেষ হয়নি!’ সুতরাং তারা বিপরীতে সমস্ত মানব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাস।
আশ্চর্যজনকভাবে তাদের মৃত্যুদণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া 10 জনের একটি তালিকা:
10 এলিজাবেথ প্রক্টর (1652- অজানা)
সালেম জাদুকরী বিচারে (1692-93), এলিজাবেথ প্রক্টর সহ তার স্বামীর সাথে জাদুকরী অনুশীলনের অভিযোগ ওঠে এবং একটি বিচারের পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এলিজাবেথ গর্ভবতী ছিলেন এবং তাই তার শিশুর জন্মের আগে পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তার স্বামীকে ১৯ আগস্ট, ১৯৯৯ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল। সালেম ডাইন ট্রায়ালস তখনকার এক বড় চাঞ্চল্যকর গল্প ছিল। শীঘ্রই গভর্নর হস্তক্ষেপ করে 153 জন ব্যক্তিকে (যাদেরকে কঠোর প্রমাণ ব্যতীত ভুলভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল) মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন এলিজাবেথও।
9 জন হেনরি জর্জ লি (1864 – সার্কা 1945)
জন লি তার কর্মচারী, মিস এমা কিজকে একটি কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করার পরে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল, তার পরে তার গলায় একটি ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং তার বাড়িতে আগুন দেয়। তাকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ফাঁসির দিন তাকে এক্সিটার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ফাঁদ দেওয়ার দরজায় দাঁড় করানো হয়েছিল, যার নীচে তার মৃত লাশ ঝুলানো হত, যদি দরজাটি ত্রুটিযুক্ত না হয়। তারা তাকে আবার ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তিনটি ব্যর্থ চেষ্টার পরে স্বরাষ্ট্রসচিব জন লি’র সাজাটিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করেছিলেন।
8 জোলেখাহ কদখোদা (1977)
ইরানে জোলেখাহ কদখোদা নামে এক যুবতীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে তাঁকে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কদখোদা তার কোমর পর্যন্ত দাফন করা হয়েছিল কিন্তু পাথর ছোঁড়া শুরু হওয়ার পরই গ্রামবাসীর তীব্র অস্বীকৃতি দেখা যায়। কোনও দিনই পাথর ছোঁড়াছুড়ি চলল এবং কডখোদা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তাকে মৃত বলে মনে করা হয়েছিল এবং তার লাশকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পৌঁছে তারা শীঘ্রই আবিষ্কার করলেন যে তিনি শ্বাস নিচ্ছেন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জোলেখাহ কদখোদা সেদিন তার গল্পটি বলতে বাঁচল।
7 উইলিয়াম ডিউল (সর্দা 1724)
১ 17 বছর বয়সী উইলিয়াম ডিউল লন্ডনে সারা গ্রিফিনকে ধর্ষণ এবং হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। জল্লাদরা তাকে কেটে দেওয়ার আগে প্রায় 20 মিনিটের জন্য তার দেহটি ঝুলিয়ে রাখে (যা কোনও ব্যক্তি মারা গেছে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি প্রমিত প্রক্রিয়া ছিল)। তখন মেডিকেল ইনস্টিটিউটগুলিতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য মৃত অপরাধী সংস্থা দান করা অনুশীলন ছিল। সেই অনুসারে ডিউলের মরদেহ সার্জনদের হলে আনা হয়েছিল। মৃতদেহটি ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ডে শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং যখন একজন চাকর দেখল যে সে শ্বাস নিচ্ছে যা প্রতি মিনিটে দ্রুত আসে got তারপরে তাকে রক্তপাত করা হয়েছিল এবং দুই ঘন্টার মধ্যে তিনি সোজা হয়ে বসতে সক্ষম হন। ডুয়েলকে আবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই তাকে পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার শাস্তি পরিবহণে পরিবর্তিত হয় যাকে দণ্ডিত পরিবহন (অর্থাত নির্বাসন) নামেও অভিহিত করা হয়।
John জন স্মিথ (১6161১ এর পরে সার্কা ১27২) )
ইংলণ্ডের জন স্মিথকে বাড়ি ভাঙার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং টাইবার্নের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। টাইবার্নে যখন তাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিল, তার পরিবার এবং বন্ধুরা তাঁর যন্ত্রণা সংক্ষিপ্ত করার জন্য তাঁর পায়ে টান দিয়েছিল তবে কিছু লোক তার মৃত্যু না হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে স্মিথের পা ধরেছিল। দৃশ্যত এটি কাজ করে। এক ঘন্টা চতুর্থাংশ ঝুলন্ত পরে, লোকেরা পুনরুদ্ধারের জন্য চিৎকার শুরু করে। কর্তৃপক্ষের দাবিতে জনসাধারণের দাবির প্রতিহত করতে অক্ষম; স্মিথকে কেটে পাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। পরে তাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল।
মজার বিষয় হল, তিনি বাড়ি ভাঙার পেশায় ফিরে গেলেন এবং আরও তিনবার দোষী সাব্যস্ত হন। তৃতীয়বার যখন তিনি চুরির কবলে পড়েছিলেন এবং ভার্জিনিয়ায় পরিবহণের জন্য (নির্বাসিত) দণ্ডিত হন।
5 অ্যান গ্রিন ( 1628 – 1665 )
অ্যান গ্রিন ছিলেন এক গৃহকর্মী, যিনি ১50৫০ সালে শিশু হত্যাকান্ড করেছিলেন। শিশুটি তার নিজের সন্তান বলেছিল যে তার নিয়োগকর্তার নাতি তার সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সবুজ তার গর্ভাবস্থা লুকিয়ে রেখেছিল এবং এখনও জন্মেছে। তিনি মৃতদেহটি আড়াল করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন এবং তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সময় তিনি তার গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়েছিলেন, যখন তার বন্ধুরা তার দোলায়মান শরীরের দিকে টানেন, যেমন অ্যান নিজেই অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি তিনি মারা গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত করার জন্য তাকে মারাত্মক মারধরও করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ব্যবধানের পরে তাকে কেটে ফেলা হয়, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু যখন তারা আবিষ্কার করলেন যে ‘মৃতদেহ’ আসলে অজ্ঞান করে নিঃশ্বাস ফেলছে তখন শিক্ষার্থীরা হতবাক হয়ে পড়েছিল। সে অনুযায়ী তাকে চিকিত্সা করা হয়েছিল এবং শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠলেন।
4 ম্যাগি ডিকসন (প্রায় 1700)
অ্যান গ্রিনের মতো, ম্যাগি ডিকসনকে তার নিজের সন্তানের শিশু হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল যে তিনি ইনকিপারের ছেলের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়েছিলেন। তিনি তার গর্ভাবস্থা একটি গোপন রাখা। শিশু অকাল জন্মগ্রহণ করেছিল এবং কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যায়। তার মৃত শিশুটিকে নদীতে ফেলে দিতে না পেরে তিনি এটিকে নদীর তীরে রেখে দেন। তাই বাচ্চাটি আবিষ্কার করা হয়েছিল এবং কর্তৃপক্ষগুলি এটি আবার ম্যাগির কাছে আবিষ্কার করে। ম্যাগিকে গ্রাসসমকেটে প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার ঝুলন্ত পরে মৃতদেহটি কফিনে রাখা হয়েছিল কিন্তু কবরস্থানে যাওয়ার পথে তিনি ঘুম থেকে উঠে কফিনের অভ্যন্তর থেকে পিটুনি দিতে শুরু করেছিলেন। এই অদ্ভুত ঘটনাটিকে willশ্বরের ইচ্ছা হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং তাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
ম্যাগি ডিকসনকে এখন কিংবদন্তি হিসাবে অভিহিত করা হয় এবং প্রায়শই হাফ-হ্যাঙ্গিট ম্যাগি হিসাবে পরিচিত। এমনকি গ্রাসমার্কেটে তার নামে একটি পাব রয়েছে।
3 জোসেফ স্যামুয়েল (1780-1806)
স্যামুয়েল এবং তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই এবং একটি পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। জোসেফ স্যামুয়েল ঝুলন্ত হওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ফাঁসির ঘটনায় জড়ো হওয়া এক বিশাল জনতা আকৃষ্ট হয়। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সময় তিনি যে গাড়িটিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেটিকে তাড়িয়ে দিলেন, কিন্তু বাতাসে ঝাঁকুনির বদলে শামুয়েল তার গলায় দড়িটি ঝাপিয়ে পড়লে মাটিতে পড়ে গেল। জনতা শান্ত এবং তাদের মধ্যে বচসা। তাড়াতাড়ি আরেকটি চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এবার, দড়িটি পিছলে গেল এবং আরও দীর্ঘ হয়ে গেল ফলে শমূয়েলের পা মাটিতে স্পর্শ করেছিল। মানুষ উত্তেজনায় হৈচৈ করে। তৃতীয় প্রয়াসে দড়িটি আবার ছিটকে গেল। জনতা শামুয়েলকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিৎকার করেছিল কারণ তারা বিশ্বাস করেছিল যে এটি fromশ্বরের পক্ষ থেকে একটি চিহ্ন। গভর্নরকে প্রেরণ করা হয়েছিল, তিনি এসে তদন্ত করেছিলেন এবং জনগণের দাবিতে জোসেফ শমূয়েলের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হয়েছিল।
2 ভেনসেলাও মোগুয়েল (সার্কিট 1880)
মেক্সিকো বিপ্লব যুদ্ধের সময় ধরা পড়ে এবং ১৯১৫ সালে বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত মোগুয়েল বেঁচে থাকার গল্পটি অবিশ্বাস্য। গুলিচালক দল তাকে 9 বার গুলি করেছিল, 9 তম গুলিটি তার মৃত্যুর নিশ্চয়তার জন্য কাছে থেকে তার মাথার কাছাকাছি গিয়েছিল। তবে মোগুয়েল কেবল কোনওরকম বেঁচে ছিলেন না, তিনি জেল থেকে পালাতেও সক্ষম হন। তিনি ১৯৩37 সালে রিপলির বিলিভ ইট অর নট রেডিও শোতে এসেছিলেন। উপরের ছবিতে মোগুয়েলকে গুলিবিদ্ধ ক্ষতের দ্বারা তৈরি দাগের দিকে ইশারা করতে দেখা গেছে।
1 উইলি ফ্রান্সিস (1929 – 1947)
16 বছর বয়সে উইলি ফ্রান্সিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার দ্বারা একটি ব্যর্থ মৃত্যুদণ্ডের প্রথম ঘটনা হয়ে ওঠে। তার নিয়োগকর্তা – একটি ফার্মাসির মালিককে হত্যার ঘটনায় ফ্রান্সিসকে বৈদ্যুতিন চেয়ার দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। বিদ্যুতের এক মারাত্মক প্রবণতা চালানোর সময়, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় যে তারা ছেলেটির চিৎকার শুনেছিল "এটি সরিয়ে ফেল! এটা খুলে ফেল! আমাকে শ্বাস নিতে দিন! “। অন্য একটি প্রতিবেদনে তাকে দাবি করা হয়েছে যে "আমি মারা যাচ্ছি না!" ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল পরে এটি আবিষ্কার করা হয়েছিল যে বৈদ্যুতিন চেয়ার উইলি ফ্রান্সিসকে মেরে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল কারণ এ সময় মাতাল হওয়া কারাগারের রক্ষী দ্বারা এটি ভুলভাবে স্থাপন করেছিলেন।
সুতরাং উইলিকে বাঁচতে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কেবল এক বছরের জন্য, তার পরে তাকে অন্য একটি বৈদ্যুতিক চেয়ারে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল যা মাতাল দ্বারা সেট করা হয়নি।